রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটেবাত
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটেবাত ( Rheumatoid Arthritis ) বলতে কি বোঝ?
শতাধিক প্রকারের বাতরোগের মধ্যে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটেবাত অন্যতম। সাধারণত বয়স্করা এ রোগে আক্রান্ত হয়। কম বয়সী ছেলেমেয়েদের বেলায় গিঁটে ব্যথা বা যন্ত্রনা হওয়া রিউমেটিক ফিভার বা বাতজ্বর ( Rheumatic Fever ) জাতীয় অন্য রোগের লক্ষণ হতে পারে ( ষষ্ঠ অধ্যায় দ্রষ্টব্য)। অস্থিসন্ধির অসুখের প্রকারভেদ অনুসারে চিকিৎসার পার্থক্য হয়। দুইজন ব্যক্তি দুটি ভিন্ন প্রকারের অস্থিসন্ধির অসুখে আক্রান্ত হলেও তাদের লক্ষণ আপাতদৃষ্টিতে একইরকম হতে পারে। সেক্ষেত্রে দুজনের ভিন্ন প্রকারের চিকিৎসা প্রয়োজন। এজন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ ছাড়া বাতের চিকিৎসা করা উচিত নয়। এতে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হতে পারে।
লক্ষণগুলো হলোঃ
(১) অস্থিসন্ধি বা গিঁটে প্রদাহ বা ব্যথা হয়।
(২) অস্থিসন্ধিগুলো শক্ত হয়ে যায়।
(৩) অস্থিসন্ধি নাড়াতে কষ্ট হয়।
(৪) গিঁট ফুলে যায়।
কিভাবে প্রতিকার করতে হয়ঃ
বয়স্কদের বেলায় এ রোগ পুরোপুরি সারানো যায় না। তবে নিচের ব্যবস্থাগুলো নিলে কিছুটা উপশম হয়।
(১) অত্যাধিক পরিশ্রম আর ভারী কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
(২) যন্ত্রণাদায়ক গিঁটের উপর প্রায়ই কুসুম গরম স্যাঁকা নিতে হবে।
(৩) অস্থিসন্ধি ঠিক রাখতে নিয়মিত হালকা শরীর চর্চা করতে হবে।
(৪) ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বেদনা উপশমকারী ঔষধ সেবন করতে হবে।
(৫)সঠিক চিকিৎসা দিয়ে এ রোগের কষ্ট থেকে সামান্য পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
প্রতিরোধ করার উপায়ঃ
(১) চিকিৎসক নির্দেশিত পদ্ধতিতে নিয়মিত ব্যায়াম করা।
(২) সুষম ও আঁশযুক্ত খাদ্য গ্ৰহণ করা।