ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (২০১৪-২০২১)
প্রতি বছর বিশ্বের প্রাকৃতিক নিদর্শন ও নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে তার গুরুত্বের জন্য ইউনেস্কো স্বৃীকৃত বিশেষ মর্যাদা (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট) ঘোষনা দেয়া হয়। আজ আমরা ইউনেস্কো স্বৃীকৃত ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের সাথে পরিচিত হই-
৩৩। গ্রেট হিমালায়ান জাতীয় উদ্যান (Great Himalayan National Park)
স্থানঃ হিমাচল প্রদেশ ,ভারত। (Himachal Pradesh)

- ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ২০১৪ এ এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- এই অঞ্চল পচিশটি বিভিন্ন ধরনের বনাঞ্চল দ্বারা গঠিত।
৩৪। রানি কি ভাও (Rani ki Vav)
অবস্থানঃ পতন, গুজরাট ,ভারত।। (Patan, Gujarat.India)

- ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ২০১৪ এ এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- এটি একটি বিখ্যাত প্রাচীন পাতকুয়া।
- এর গভীরতা প্রায় ৩০ মিটার।
- কূপের গায়ে ৮০০টিরও বেশী টেরাকোটার কারুকাজ আছে।
- গুজরাটের পাটান নগরীর স্বরস্বতী নদীর ধারে “রানী কি ভাভ” অবস্থিত।
- ভীমদেবের উদ্দেশ্যে রানী উদয়ামতী ১০৬৩ খ্রিষ্টাব্দে এটি খনন করান।
৩৫। লা কর্বসায়ারের স্থাপত্য কাজ (The Architectual Work Of Le Corbusier)
অবস্থানঃ চন্ডিগড় ,ভারত। (Chandigarh)

- ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ২০১৬ এ এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৩৬। নালন্দা বিহার (Nalanda Bihar)
অবস্থানঃ বিহার,ভারত।

- ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ২০১৬ এ এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- এটি ভারতের বিহার রাজ্যে অবস্থিত একটি মহাবিহার।
- গুপ্ত সম্রাট এর আমলে এই নালন্দা মহাবিহার নির্মিত হয়।
- নালন্দা শিক্ষা-দীক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল ৪(চার) থেকে ৯(নয়) শতক পর্যন্ত ।
- ১৯ শতকে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ প্রাথমিকভাবে এই প্রত্নস্থলে খননকার্য শুরু করে। ১৯১৬ সালে প্রথম এখানে নিয়মমাফিক খননকার্য শুরু হয় ও ১২ হেক্টর জমিতে সুবিন্যস্ত ১১টি মঠ ও ইটের তৈরি ৮টি বিহার আবিষ্কৃত হয়।
- এই ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে প্রচুর মুদ্রা, ভাস্কর্য, শিলমোহর ও উৎকীর্ণ লিপিও পাওয়া যায়।
৩৭। কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক (Khangchendzonga National Park)
অবস্থানঃ উত্তর সিকিম সিকিম,ভারত। (North Sikkim, Sikkim.India)

- ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ২০১৬ এ এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক এর ক্ষেত্রফল ১৭৮৪ বর্গ কি.মি.।
- এই উদ্যান ফ্লোরা-ফনা দুয়ের জন্য বিখ্যাত।
- কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক-পর্বতশৃঙ্গ, অরণ্য আর হিমবাহের অপরুপ সমন্বয়।
৩৮। ঐতিহাসিক শহর-আহমেদাবাদ । (Historic City of Ahmadabad)
অবস্থানঃ আহমেদাবাদ, গুজরাট,ভারত। (Ahmadabad, Gujarat.India)

- ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় জুলাই ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- আহমেদাবাদ ৬০০ বছরেরও বেশী পুরনো শহর।
- গুজরাট সালতানাত আহমেদ শাহ্ কর্তৃক ১৪১১ খ্রিষ্টাব্দে এ শহরটি রাজধানী হিসবে প্রতিষ্ঠিত হয় ।
৩৯। মুম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়ান ও আর্ট ডেকো এনসেম্বল (The Victorian Gothic and Art Deco Ensemble of Mombai)
অবস্থানঃ মুম্বাই হাই কোর্ট (Mombai Haigh Court)- মুম্বাই, রাজাবাই ক্লক টাওয়ার (Rajabai Clock Tower), ইরোজ সিনেমা (Eros Cinema), মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়(University of Mombai),মুম্বাই, ভারত।

- ইউনেস্কো (UNESCO) স্বৃীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ২০১৮ (৪২তম সেসন) এ এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৪০। জয়পুর শহর (Jaipur City)
অবস্থানঃ রাজস্থানের জয়পুর শহর, ভারত। (Jaipur City in Rajasthan.India)

- ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ২০১৯ এ এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- ১৭২৭ খ্রিষ্টাব্দে আমের রাজা ২য় জয়সিং এর আমলে এ শহরের গোড়াপত্তন হয়।
- রাজস্থানের সর্ববৃহৎ শহর ও রাজধানী।
- এ শহরকে পিং সিটিও বলা হয়।
- এই সমস্ত নির্মাণ গুলি বৈদিক স্থাপত্য রীতি মেনে তৈরি করা হয়েছে।
৪১। রামাপ্পা (রুদ্রেশ্বর ) মন্দির বা কাকাতিয়া রুদ্রেশ্বর মন্দির Ramappa (Rudreshwar) Temple
অবস্থানঃ তেলেঙ্গানা,ভারত।(talanga,India)

- ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ২০২১ এ এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- হায়দরাবাদ থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে তেলেঙ্গানার মুলুগু জেলার পালামপেট গ্রামে অবস্থিত
- ধারনা করা হয় যে, ভগবান শিব, বিষ্ণু এবং সূর্যদেবকে উৎসর্গ করে রামাপ্পা মন্দির ১৩শ শতকে তৈরি হয়েছিল।
- রুদ্রেশ্বর /রামাপ্পার মন্দিরটি নির্মান করতে প্রায় ৪০ বছর সময় লেগেছে।
- মন্দিরটির স্থপতির নামানুসারেই এই মন্দিরটির নামকরন করা হয়েছে রামাপ্পা মন্দির।
৪২। ধোলাভিরা (হরপ্পান সিটি) Dholavira (Harappan City)
অবস্থানঃ গুজরাট, ভারত। (Gujrat,India)

- ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ২০২১ এ এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- গুজরাটের কচ্ছ জেলার ভাচাউ তালুকের খাদিরবেটে ধোলাভিরা অবস্থিত।
- ধারনা করা হয় ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে (প্রাক-হরপ্পান) এটি গঠিত হয় ।
- আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার উদ্যোগে ১৯৬৭-৬৮ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক জেপি জোশির নেতৃত্বে এই সভ্যতা আবিষ্কৃত হয়।
- প্রায় ১০০ একর জায়গা জুড়ে এই হরপ্পান সিটি
- এটি হরপ্পা সভ্যতার পাঁচটি বৃহত্তম নগরের মধ্যে অন্যতম একটি নগরী বলে মনে করা হয়। এর পরিকল্পিত নগরসজ্জা, উন্নত পানি সংরক্ষণ প্রক্রিয়া, আধুনিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা সেই সময়ের হিসাবে অকল্পনীয়।
বিশ্ব ঐতিহ্য বিষয়ে আরো জানতে এখানে ক্লিক্ করুন…