বিশ্বের বিখ্যাত ও দর্শনীয় স্থান-০১
(১) ক্যান্ডি : মধ্য শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত। বৌদ্ধ সভ্যতার একটি কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত।
(২) স্ট্যাচু অব ডেমোক্রেসি : ১৯৮৯ সালে গণতন্ত্রকামী চীনের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের উপর সরকারি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের স্মরণে বেইজিং এর তিয়েন- আনমেন স্কয়ারে নির্মিত মূর্তি।
(৩) পানমুনজাম : উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে একটি বেসামরিক পল্লি। ১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধের পর থেকে এই বেসামরিক এলাকাটি গঠন করা হয়। বর্তমানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিয়ন্ত্রিত হয়।
(৪) দিল্লি জামে মসজিদ : সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মসজিদ। এটি দিল্লিতে অবস্থিত।
(৫) পশ্চিম তীর : জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে সংলগ্ন এ স্থানটি পার্বত্য মরুভূমি অঞ্চল। ১৯৮৮ সালে পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখণ্ড নিয়ে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৬৭ সালের ৩য় আরব ইসরাইল যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীরের অধিকাংশ এলাকা ইসরাইল দখল করে।
(৬) আচেহ প্রদেশ : আচেহ ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রদেশ। এর রাজধানীর নাম বান্দা আচেহ। আয়তন ৫৮৩৭৫.৮৩ বর্গ কিমি ও লোকসংখ্যা ৪৪ লাখ ৮৬ হাজার ৫৭০ জন। প্রদেশটি কেন্দ্রের শোষণ নির্যাতনের চরম শিকার।
(৭) আজমির শরীফ : ভারতের রাজস্থানে অবস্থিত মুসলমানদের পবিত্র স্থান। খাজা মঈন উদ্দিন চিশতীর সমাধি ক্ষেত্র এখানে অবস্থিত।
(৮) জাফনা : শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলীয় তামিল প্রধান একটি দ্বীপ। সশস্ত্র তামিলদের প্রধান ঘাঁটি ও স্ব-ঘোষিত রাজধানী ছিল। তামিল গেরিলারা এ অঞ্চলে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করেছে।
(৯) হিরোশিমা : জাপানের হনসুতে অবস্থিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট যক্তরাষ্ট্র এ স্থানে প্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
(১০) নাগাসাকি : জাপানের অন্যতম শিল্প শহর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ( ৯ আগস্ট ১৯৪৫ সালে ) এই শহরে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
(১১) ইস্তাম্বুল : তুরস্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর। এর পুরাতন নাম কনস্ট্যান্টিনোপল। এই শহরটি ফসফরাস প্রণালির উভয় তীরে অবস্থিত। সোফিয়া মসজিদের জন্য বিখ্যাত। এটি ইউরোপ এ এশিয়া দুই মহাদেশে বিস্তৃত।
(১২) জেরুজালেম : ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান। ১৯৬৭ সালে আরব ইসরাইলের যুদ্ধে ইসরাইল সম্পূর্ণ জেরুজালেম নিজ দখলে নিয়ে যায়। ১৯৮০ সালে জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে।
(১৩) ট্রয় নগরী : তুরস্কের এশিয়া অংশে অর্থাৎ এশিয়া মাইনরের একটি শহর। পৌরাণিক কাহিনী এই নগরীকে রহস্যময় খ্যাতি দিয়েছে।
(১৪) তক্ষশীলা : পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির অদূরে অবস্থিত। এখানে প্রাচ্যের অন্যতম বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তক্ষশীলা বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত ছিল।
(১৫) কারাকোরাম : উত্তর কাশ্মীরে অবস্থিত পর্বতমালা। এখানে ২৮,২৫০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট K2 শৃঙ্গ অবস্থিত। পাকিস্তান থেকে চীনের সিকিয়াং যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগ এই পথে।
(১৬) গোল্ডেন হর্ন : তুরস্কের এশীয় অংশে অবস্থিত। কৃষ্ণ সাগর এবং মর্মর সাগরকে সংযোগকারী ফসফরাস প্রণালিতে প্রবেশের পথ।
(১৭) দিয়াগো গার্সিয়া : ভারত মহাসাগরে অবস্থিত ব্রিটিশ শাসিত প্রবাল দ্বীপ। ব্রিটেন এই দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের জন্য ১৯৭৪ সালে আমেরিকার নিকট হস্তান্তর করে। ১৯৭৬ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই প্রবাল দ্বীপটিকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত মার্কিন নৌ ও বিমান বহরের একটি বৃহৎ ঘাঁটিতে রূপান্তরিত করে।
(১৮) ম্যাকাও : চীনের দক্ষিণে অবস্থিত পর্তুগালের সাবেক কলোনি। ৪৪২ বছর ম্যাকাও পর্তুগালের অধীনে ছিল। ১৯৮৬ সালের ১৩ এপ্রিল চীন ও পর্তুগালের মধ্যে নানকিং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি মোতাবেক ১৯৯৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ম্যাকাও কে পর্তুগাল চীনের নিকট হস্তান্তর করে।
(১৯) সিমলা : উত্তর ভারতের হিমাচল রাজ্যের রাজধানী এবং ভারতের অন্যতম শহর। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর শান্তি স্থাপন করতে ১৯৭২ সালের ২ জুলাই ঐতিহাসিক “ সিমলা চুক্তি ” স্বাক্ষরিত হয়।