আমাদের জ্যোতিষ্কমন্ডলী
Geography এর বাংলা প্রতিশব্দ “ ভূগোল ”। Geo অর্থ – পৃথিবী। ( Earth ) Graph অর্থ লেখচিত্র ( describe ) সুতরাং geography বলতে বোঝায় the description of the earth প্রাচীন গ্ৰীক ভূগোলবিদ ইরাটসথেনিস সর্বপ্রথম geography শব্দটি ব্যবহার করেন। তাই তাকে ভূগোলের জনক বলা হয়। মানুষ এবং পৃথিবী হল ভূগোল শাস্ত্রের প্রধান দুটি বিষয়। সময়ের ভিত্তিতে মানুষ এবং পরিবেশের সম্পর্ক নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে তাকে ভূগোল বলে।
জ্যোতিষ্কমন্ডলী সম্পর্কে তথ্যঃ
গ্ৰহ, নক্ষত্র, ধুমকেতু, উল্কা, নীহারিকা, পালসার, কৃষ্ণবামন, কৃষ্ণ গহব্বর প্রভৃতি নিয়ে হয়েছে – মহাকাশ।
সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে – ৮মিনিট ১৯সেকেন্ড।
সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের নাম – প্রক্সিমা সেন্টরাই।
পৃথিবী থেকে প্রক্সিমা সেন্টরাই এর দূরত্ব – প্রায় ৩৮ লক্ষ কোটি কিলোমিটার।
মহাকাশে স্বল্পালোকিত তারকারাজির আস্তরনকে বলে – নীহারিকা।
মহাকর্ষ বলের প্রভাবে কিছু কিছু জ্যোতিষ্ক গ্ৰহকে ঘিরে আবর্তিত হয়, এদের বলে – উপগ্ৰহ।
জ্যোতিষ্ক ( Luminar )-
মহাকাশে অসংখ্য নক্ষত্র, গ্ৰহ, উপগ্ৰহ, ধুমকেতু, ছায়াপথ, উল্কা, নীহারিকা, পালসার ইত্যাদি রয়েছে এগুলোকে জ্যেতিষ্ক বলে। কতগুলো জ্যেতিষ্ককে একত্রে জ্যোতিষ্কমন্ডলী বলে।
নক্ষত্র ( Star ) –
মহাকাশে ভাসমান যে সকল জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো ও উত্তাপ আছে তাকে নক্ষত্র বলা হয়। নক্ষত্রগুলো প্রকৃতপক্ষে জলন্ত বাষ্পপিন্ড। পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র সূর্য।
নক্ষত্রমন্ডলী ( constellation ) –
মেঘমুক্ত অন্ধকার রাতে আকাশের দিকে তাকালে মনে হয় কতগুলো নক্ষত্র মিলে জোট বেধেছে এরুপ নক্ষত্র দলকে নক্ষত্রমন্ডলী বলে। যেমনঃ সপ্তর্ষি মন্ডল, কাল পুরুষ, ক্যাসিওপিয়া, লঘুসপ্তর্ষি, কুক্কুরমন্ডল ইত্যাদি।
গ্যালাক্সি ( Galaxy ) –
মহাকাশে কোটি কোটি নক্ষত্র এবং বিশাল বাষ্পকুন্ড নিয়ে জ্যোতিষ্ক মন্ডলীর যে দল সৃষ্টি হয়েছে তাকে গ্যালাক্সি বলে। মহাকাশে অসংখ্য গ্যালাক্সি রয়েছে।
ছায়াপথ ( Milky way ) –
গ্যালাক্সির ক্ষুদ্রতম অংশকে ছায়াপথ বলে। রাতের অন্ধকার আকাশে উত্তর দক্ষিণে উজ্জ্বল দিপ্ত দীর্ঘ পথের মত যে তারকারাজি দেখা যায় তাকে ছায়াপথ বলে। একটি ছায়াপথ লক্ষ কোটি নক্ষত্রের সমষ্টি কোটি কোটি নক্ষত্রের মাঝে সূর্যও এই ছায়াপথে অবস্থান করছে।
নীহারিকা –
মহাকাশে স্বল্পালোকিত তারকারাজির আস্তরণকে নীহারিকা বলে। নীহারিকাসমূহ গ্যাসীয় পদার্থের পূর্ণ। একটি নীহারিকা মাঝে কোটি কোটি নক্ষত্র থাকতে পারে ছায়াপথ নীহারিকার সমতলে অবস্থান করে।
উল্কা ( Meteor ) –
মহাকাশে অজস্র জড়পিন্ড ভেসে বেড়ায় এই জড়পিন্ডগুলো মধ্যাকর্ষণ শক্তির আকর্ষণে প্রচন্ড গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে এ ধরনের জ্যোতিষ্কগুলোকে উল্কা বলে। বেশিরভাগ উলকাপিন্ডগুলোই আকারে বেশ ক্ষুদ্র। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর উল্কা ক্রমে নিঃশেষ হয়ে যায়।
ধূমকেতু ( Comet ) –
ধূমকেতু মহাকাশের এক অতি বিস্ময়কর জ্যোতিষ্ক। এসব জ্যোতিষ্ক দীর্ঘ দিন পর আকাশে উদয় হয় আবার অদৃশ্য হয়ে যায় নক্ষত্রের চারিদিক দীর্ঘ পথে এগুলো পরিভ্রমন করে। ধূমকেতুর উজ্জ্বল ঝাটার ন্যায় দীর্ঘ বাষ্পময় পূচ্ছ থাকে।
গ্ৰহ ( Planet ) –
মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মহাকাশে কতগুলো জ্যোতিষ্ক নক্ষত্রের চারদিকে নির্দিষ্ট পথে নির্দিষ্ট সময়ে পরিভ্রমন করে এদেরকে গ্ৰহ বলে এদের নিজস্ব আলো ও তাপ নেই। নক্ষত্র থেকে এরা আলো ও তাপ পায়।
উপগ্ৰহ ( Satellite ) –
মহাকর্ষ বলের প্রভাবে কিছু কিছু জ্যোতিষ্ক গ্ৰহের চারদিক নির্দিষ্ট পথে নির্দিষ্টসময়ে আর্বতনকরে এদেরকে উপগ্ৰহ বলে। এরাও নক্ষত্রের নিকট থেকে আলো ও তাপ পায়, চন্দ্র পৃথিবীর একমাত্র উপগ্ৰহ।
গ্ৰহানুপুঞ্জ ( Asteroids ) –
মঙ্গল গ্ৰহের পর এবং বৃহস্পতির আগে ৫৬৩১কিমি এর মধ্যে কোন গ্ৰহ নেই মহাশূন্যে বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্যোতিষ্ক রয়েছে ১৬কিমি থেকে ৮০৫কিমি ব্যাস সম্পন্ন এ সকল জ্যোতিষ্ককে গ্ৰহানুপুঞ্জ বলে। দলবদ্ধ রয়েছে এগুলোকে একত্রে গ্ৰহানুপুঞ্জ বলে।
সূর্য ( Sun ) –
সৌরজগতের কেন্দ্রীয় বস্তুপিন্ড সূর্য একটি নক্ষত্র। সৌরজগতে সূর্য সকল শক্তির উৎস।সূর্যের ব্যস প্রায় ১৩লক্ষ ৮৪হাজার কিমি। এর কেন্দ্র ভাগের উত্তাপ প্রায় ১৫কোটি ডিগ্ৰী সেলসিয়াস এবং পৃষ্ঠভাগ ৬০০০ডিগ্ৰী সেলসিয়াস। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ১৫কোটি কিঃমিঃ।
পৃথিবী ( Earth ) –
পৃথিবী সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্ৰহ। পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব প্রায় ১৫কোটি কিমি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে আরো জানতে এখানে ক্লিক্ করুন…