মরিচা পড়া লোহা, টিন দিয়ে শরীরে কেটে গেলে কেন টিটেনাস টিকা দিতে হয়?

কেন টিটেনাস টিকা দিতে হয়?

কেন টিটেনাস টিকা দিতে হয়?

মরিচা পড়া লোহায় মরিচার সাথে অনেক ময়লা আবর্জনা থাকতে পারে এবং জীবাণু থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই ময়লা আবর্জনার চেয়ে জীবাণুগুলোই আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

“Clostridium tetani”  নামক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া আছে। যা সাধারণত মাটি আবর্জনা ও নোংরা স্থানে পাওয়া যায়।  এই ব্যাকটেরিয়ার স্পোর  যখন কোন পেরেক, টিন, লোহা বা ওই জাতীয় কোন কিছুর মধ্যে লেগে থাকে আর সেই বস্তুটি যদি আমাদের চামড়া ভেদ করে শরীরের মাংসপেশি তে প্রবেশ করে,  তখন এই স্পোরগুলোর মাধ্যমে  এই Clostridium tetani  ব্যাকটেরিয়ার  বংশ বিস্তার ঘটে।

কেন টিটেনাস টিকা দিতে হয়?

এই বংশবিস্তারের মাধ্যমে একপ্রকার নিউরোটক্সিন তৈরি হয়। যার নাম “tetanospasmin”। এই নিউরোটক্সিন দেহে মোটর নিউরন তৈরি করে। যা স্নায়ুতন্ত্রের একটি অস্বাভাবিক অবস্থা। যার মাধ্যমে পেশীর স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণক অকেজো হয়ে যায়।

যখন সংক্রমণ বেড়ে যায় তখন, পেশি খিচুনী দেখা দেয়। যা ক্রমশ চোয়ালেও দেখা দেয়। তাই এই রোগটির অন্যতম নাম হলো “দাঁতকপাটি”। এই রোগের আরো কয়েকটি লক্ষণ হলোঃ

১) পেশির অনমনীয়তা।

২) খাদ্য গিলে খেতে অসুবিধা হয়।

৩) দেহের বিভিন্ন অংশে খিচুনী দেখা দেয়।

এর অন্যতম একটি বিশেষ লক্ষণ হলো যে, শরীরের পেছনের মাংসপেশিগুলো সংকুচিত হতে পারে না। যার ফলে পুরো শরীর ধনুকের মত বেকে যায়। যার কারণে এই রোগকে বাংলায় ধনুষ্টংকার বলে।

মূলত, এইসব সমস্যা যেন না হয়, সেই কারণে এই টিটেনাস টিকা নেওয়া হয়। যাতে পরবর্তীতে কোনো বড় সমস্যা না হয়। এটি সেই ব্যাকটেরিয়াকে বংশবিস্তার করা থেকে প্রতিরোধ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *