
কেটে গেলে টিটেনাস টিকা কেন দিতে হয়
কেটে গেলে টিটেনাস টিকা কেন দিতে হয়
মরিচা পড়া লোহায় মরিচার সাথে অনেক ময়লা আবর্জনা থাকতে পারে এবং জীবাণু থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই ময়লা আবর্জনার চেয়ে জীবাণুগুলোই আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর।“Clostridium tetani” নামক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া আছে। যা সাধারণত মাটি আবর্জনা ও নোংরা স্থানে পাওয়া যায়। এই ব্যাকটেরিয়ার স্পোর যখন কোন পেরেক, টিন, লোহা বা ওই জাতীয় কোন কিছুর মধ্যে লেগে থাকে আর সেই বস্তুটি যদি আমাদের চামড়া ভেদ করে শরীরের মাংসপেশি তে প্রবেশ করে, তখন এই স্পোরগুলোর মাধ্যমে এই Clostridium tetani ব্যাকটেরিয়ার বংশ বিস্তার ঘটে।এই বংশবিস্তারের মাধ্যমে একপ্রকার নিউরোটক্সিন তৈরি হয়। যার নাম “tetanospasmin”। এই নিউরোটক্সিন দেহে মোটর নিউরন তৈরি করে। যা স্নায়ুতন্ত্রের একটি অস্বাভাবিক অবস্থা। যার মাধ্যমে পেশীর স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণক অকেজো হয়ে যায়।এই ব্যাকটেরিয়ার বংশ বিস্তার যাতে না ঘটে সে জন্য টিটেনাস টিকা দিতে হয়।
যখন সংক্রমণ বেড়ে যায় তখন, পেশি খিচুনী দেখা দেয়। যা ক্রমশ চোয়ালেও দেখা দেয়। তাই এই রোগটির অন্যতম নাম হলো “দাঁতকপাটি”।
এই রোগের আরো কয়েকটি লক্ষণ হলোঃ
- পেশির অনমনীয়তা।
- খাদ্য গিলে খেতে অসুবিধা হয়।
- দেহের বিভিন্ন অংশে খিচুনী দেখা দেয়।
এর অন্যতম একটি বিশেষ লক্ষণ হলো যে, শরীরের পেছনের মাংসপেশিগুলো সংকুচিত হতে পারে না। যার ফলে পুরো শরীর ধনুকের মত বেঁকে যায়। যার কারণে এই রোগকে বাংলায় ধনুষ্টংকার বলে।
মূলত, এইসব সমস্যা যেন না হয়, সেই কারণে এই টিটেনাস টিকা নেওয়া হয়। যাতে পরবর্তীতে কোনো বড় সমস্যা না হয়। এটি সেই ব্যাকটেরিয়াকে বংশবিস্তার করা থেকে প্রতিরোধ করে।
কেটে গেলে টিটেনাস কত দিনের মধ্যে দিতে হয়?
পুরোনো বা জং(মরিচা) ধরা কোন কিছু দিয়ে শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে ক্ষতস্থান শুধু জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করলেই হবেনা ।যত দ্রুত সম্ভব প্রথমে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে এবং নিচে লিখিত বিধি মত ব্যবস্থা নিতে হবে-
- আপনাকে টিটেনাস এর টিকা সাত দিনের মধ্যে অবশ্যই অবশ্যই নিতে হবে।
- অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের টিটেনাসের টিকা নিলে ভালো হয়।
- মেয়ে শিশুদের ১৫ বছর বয়স হলে এই টিটেনাসের সম্পূর্ণ কোর্স নিতে হবে।
- সেজন্য টিকার ডোজ চলাকালীন ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সের মেয়েদের যদি এরকম ভাবে কেটে যায় বা রক্ত ঝরে তাহলে তাদের টিটেনাসের টিকা না নিলেও চলবে।
স্বাস্থ্য বিষয়ে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুণ