
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদ
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদ
মসজিদ পরিচিতিঃ
মসজিদ ইসলাম ধর্মাবলম্বীর প্রধান উপাসনার স্থান। মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠের দেশ বাংলাদেশ। কিছু প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক মসজিদ ছাড়া মোঘল আমলের প্রায় সকল মসজিদই এখন প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছেে আজ আমরা কিছু বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদ সম্পর্কে জানবো।
বাঘা মসজিদঃ
রাজশাহী তে অবস্থিত। নূসরত শাহের আমলে নির্মিত।রাজশাহী মেট্রোপলিটন শহর থেকে প্রায় ৪১ কিঃমিঃ দূরে বাঘা উপজেলায় এই ঐতিহাসিক বাঘা মসজিদ টি অবস্থিত। ১৫২৩ আলাউদ্দিন শাহের সুযোগ্য পুত্র নূসরাত শাহ এই বাঘা মসজিদটি নির্মাণ করেন। প্রায় ৮৫ একর জমির ওপর এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত। মসজিদটি মোট ১০ টি গম্বুজের উপর দাঁড়িয়ে। প্রস্থ-১২.১৮ মিঃ এবং দৈঃ ২২.৯২ মিঃ। বাঘা মসজিদে ৪ টি কারুকার্যময় মেহরাব রয়েছে। এর এক পাশে একটি মাজার রয়েছে।এর প্রাঙ্গনে প্রায় ৫০০ বছর ধরে ঈদুল ফিতরের দিন থেকে ৩ দিন ‘বাঘার মেলা’র আয়োজন করা হয়।
কুসুম্বা মসজিদঃ
১৫৫৮ সালে সুলতান গিয়াসউদ্দীন বাহাদুর শাহ এর আমলে নির্মিত।নওগাঁ জেলার মান্দায উপজেলায় ঐতিহাসিক কুশুম্বা মসজিদটি অবস্থিত।মসজিদটি সুলতানী আমলের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন।সুলতান আলা-উদ-দীন হোসাইন শাহ এর নাম মসজিদটির মিহরাবের উপরে লিখিত থাকায় ধারনা করা হয় তাঁর শাসনামলে মসজিদটি নির্মিত হযয়েছে। এই মসজিদটি কালো ও ধুসর বর্ণের পাথর এবং পোড়া মাটির ইট দ্বারা নির্মিত। মসজিদটিতে মনোরম শৈল্পিক কারুকাজ যা মুসলিম স্থাপত্য নির্দেশ করে। মসজিদের ৬ টি গম্বুজ আছে। মসজিদটির সামনে একটি বিশাল জলাশয় রয়েছে যার আয়তন ২৫.৮৩ একর। মসজিদের অভ্যন্তরে উত্তর-পশ্চিম স্তম্ভের উপর একটি উচু আসন রয়েছে। ধারনা করা হয় এই আসনে বসেই কাজী বিচার কার্য পরিচালনা করতেন।
চকের মসজিদ–> ঢাকাতে অবস্থিত। শায়েস্তা খান এর আমলে নির্মিত।
লালবাগ মসজিদ –> ঢাকার লালবাগ দুর্গে অবস্থিত। ১৬৮০ সালে যুবরাজ আযম শাহ এটি নির্মাণ করেন।
সাত গম্বুজ মসজিদ –> মুঘল শাসনামলে বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খান কর্তৃক নির্মিত। এতে ৭টি গম্বুজ আছে। ঢাকায় অবস্থিত।
আতিয়া মসজিদ –> টাঙ্গাইলে অবস্থিত। ১৬০৯ সালে পীর আলী শাহান শাহের দরগায় সাইদ খাঁন কর্তৃক নির্মিত।
ছোট সোনা মসজিদ –> চাঁপাইনবাবগঞ্জ এ অবস্থিত। হোসেন শাহ এর আমলে নির্মিত।
বিনত বিবি মসজিদ –> ঢাকায় অবস্থিত। এই মসজিদটি ঢাকার প্রথম মসজিদ। ১৪৫৭ সালে মাহমুদশাহের আমলে নির্মিত।
কদম রসুল মসজিদ –> রাজশাহীতে অবস্থিত। নূসরাত শাহের আমলে নির্মিত।
ষাট গম্বুজ মসজিদ –> খুলনায় অবস্থিত। হযরত খানজাহান আলী এটি নির্মাণ করেন। গম্বুজ সংখ্যা ৮১ টি।
বাগেরহাট জেলার অবস্থিত প্রাচীন ষাট গম্বুজ মসজিদ ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দে নির্মাণ করা হয়। মসজিদের গায়ে কোন শিলালিপি পাওয়া যায়নি তবে নির্মাণশৈলী দেখে ধারণা করা হয় থান-ই-জাহান মসজিদটি নির্মাণ করেন। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো ঐতিহ্যবাহী এই ষাট গম্বুজ মসজিদকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা সম্মান প্রদান করে।
বড় সোনা মসজিদ –> পান্ডুয়ায় অবস্থিত। এটি একটি বিখ্যাত মসজিদ।
বায়তুল মোকাররম মসজিদ –> বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ।
জোড় বাংলার মসজিদ –> যশোর।
চেরাগদানী মসজিদ –> যশোর।
এক গম্বুজ মসজিদ –> বাগেরহাট। শেষ জীবনে যখন খান-ই-জাহান মাজারে বাস করতেন, তখন তিনি এই মসজিদ নির্মান করেন।
নয় গম্বুজ মসজিদ –> বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত। এটি খান-ই-জাহান নির্মাণ করেছিলেন বলে জানা যায়।
জিন্দা-পীরের মসজিদ –> এটি হোসেন শাহ বা তার পুত্র নুসরাত শাহ এর আমলে নির্মিত বলে মনে করা হয়।
দেওয়ানবাগ মসজিদ –> সোনারগাঁ এ অবস্থিত। ঈসা খাঁ বা তার কোন বংশধর এটি নির্মাণ করেছিলেন।
বাবা আদম শাহী মসজিদ –> বিক্রমপুরে অবস্থিত। মালিক উল মোয়াজ্জম মালিক কাফুর কর্তৃক ৮৮৮ হিজরী, ১৪৮৩ খ্রীষ্টাব্দে এটি নির্মাণ করেন।
লালবাগ শাহী মসজিদ –> ঢাকায় অবস্থিত। শাহজাদা ফররুখসিয়ার এটি নির্মাণ করেন।
বেগম বাজার মসজিদ –> ঢাকার চক বাজারে অবস্থিত। মুর্শিদকুলী খান ঢাকায় অবস্থান কালে ১৭০০-১৭০৪ খ্রীষ্টাব্দে এটি নির্মাণ করেন।
অষ্টগ্ৰাম কুতুবশাহ মসজিদ –> ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত।
শঙ্করপাশা মসজিদ –> সিলেট। হোসেন শাহ এর রাজত্বকালে নির্মিত।
শাহসূজা মসজিদ –> কুমিল্লায় অবস্থিত।
বজরাশাহী মসজিদ –> নোয়াখালী জেলায় অবস্থিত। ১৭০১ খ্রীষ্টাব্দে মোহাম্মদ শাহ এর রাজত্বকালে এটি নির্মিত।
মটবী মসজিদ –> নোয়াখালী জেলায় অবস্থিত।
ফকীরা মসজিদ –> হাটহাজারী চট্টগ্রাম।
আন্দরকিল্লা মসজিদ –> চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশের বিখ্যাত প্রত্নস্থল - Pathokia
[…] বাংলাদেশের বিখ্যাত প্রত্নস্থলের দ্বিতীয় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুণ… […]