
অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয়জনিত রোগ
অস্টিওপোরোসিস ( Osteoporosis ) বা হাড় ক্ষয় বলতে কি বুঝিঃ
অস্থির গঠন এবং দৃঢ়তার জন্য ক্যালসিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অস্থির বৃদ্ধির জন্য চাই ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ খাদ্য। অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয়, ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত একটি রোগ। বয়স্ক পুরুষ ও নারীদের সাধারণত এ রোগটি হয়। যেসব বয়স্ক পুরুষ বহুদিন যাবৎ স্টেরওয়েডযুক্ত ঔষধ সেবন করেন, তাদের ও নারীদের মেনোপজ ( রজ-নিবৃত্তি, অর্থাৎ মাসিক চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়া ) হওয়ার পর এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া অনেক দিন ধরে আর্থ্রাইটিসে ( অস্থিসন্ধির প্রদাহ) ভুগলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়।
কারণঃ দেহে খনিজ লবণ বিশেষ করে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে এ রোগটি হয়। নারীদের মেনোপজ হওয়ার পর অস্থির ঘনত্ব ও পুরুত্ব কমতে থাকে।
লক্ষণগুলো হলোঃ
- অস্থি ভঙ্গুর হয়ে যায়, ঘনত্ব কমতে থাকে।
- পেশির শক্তি কমতে থাকে।
- পিঠের পিছন দিকে ব্যথা অনুভব হয়।
- অস্থিতে ব্যথা অনুভব হয়।
রোগ নির্ণয় এর উপায়ঃ
ঘনত্বমাপক যন্ত্রের সাহায্যে অস্থির খনিজ পদার্থের এ রোগ নির্ণয় করা হয়। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় তেমন কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। হঠাৎ করেই সামান্য আঘাতে কোমর বা দেহের অন্যান্য কোনো অঙ্গের হাড় ভেঙে যায়।
কিভাবে প্রতিকার করতে হবেঃ
- পঞ্চাশোর্ধ পুরুষ ও নারীদের দৈনিক 1200 মিলিগ্ৰাম ( বা চিকিৎসক নির্দেশিত অন্য কোনো পরিমাণ ) ক্যালসিয়াম গ্ৰহণ করা।
- ননিতোলা দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য গ্ৰহণ করা।
- কমলার রস, সবুজ শাক-সবজি, সয়াদ্রব্য ও ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
প্রতিরোধ করার উপায়ঃ
- যথেষ্ট পরিমাণে সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা।
- ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ( ডি) সমৃদ্ধ খাদ্য গ্ৰহণ করা।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা ( যদি কেউ ইতোমধ্যে অস্টিওপোরোসিস আক্রান্ত হয় তাহলে ব্যায়াম করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে)।
- সুষম ও আঁশযুক্ত খাবার গ্ৰহণ করা।
আসুন সতর্ক হইঃ
যেহেতু পঞ্চাশোর্ধ পুরুষ ও নারী এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশী তাই এই বয়সে সুষম খাবারের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য বিষয়ে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুণ